গাজীপুর জেলার ভৌগলিক পরিচিতি :
লবলং, ব্রহ্মপুত্র, পারুলী, সুতী, গোয়ালী, শীতলক্ষ্যা, বানার, তুরাগ, বালু, চিলাই, বিধৌত
গৈরিক মৃত্তিকার কোলে, শাল অরণ্যের সবুজে আচ্ছাদিত গাজীপুর জেলা ।
জেলার অবস্থান: ২৩-৫৩ হতে ২৪-২৪ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০-৯থেকে ৯০-৪২ পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত।
আয়তন : ১৭৪১.৫৩ বর্গ কিলোমিটার । জেলা শহর ৯টি ওয়ার্ড এবং ৩১টি মহল্লা নিয়ে গঠিত ।
অবস্থান: উত্তরে ময়মনসিংহ এবং কিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা ,
পশ্চিমে ঢাকা ও টাংগাইল জেলা।
ভূ-প্রকৃতি: টারশিয়ারী যুগে গাজীপুর উত্তর-পূর্ব ভারতের অংশ বিশেষের যে পরিবর্তন সূচিত হয় তার ফলে চ্যুতির আকারে অবনমিত হয়ে রাজমহল গারো ছেদের সৃষ্টি হয়। এর ফলশ্রুতিতে নদ-নদীর গতি পরিবর্তিত হয়। প্লাইষ্টেসিনকালের কার্যকলাপের সময় প্রাচীন অবক্ষেপণ থেকেই মধুপুর ভাওয়ালচত্বর (গাজীপুর জেলা) বা প্লাইষ্টেসিনকালের চত্বরের বিকাশ হয়। গাজীপুর জেলার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বাংশের গড় উচ্চতা সমুদ্র সমতল হতে ৬ মিটার এবং পশ্চিম দিকে কালিয়াকৈর এ অবস্থিত টিলার উচ্চতা ৩০ মিটারের মত। পশ্চিম হতে পূর্ব দিকে ঢাল বিশিষ্ট এবং পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র প্লাবন ভূমির দিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অবনমিত সোপান দ্বারা ক্ষত-বিক্ষত যা খাড়া কিনার সম্পন্ন। জেলার উত্তরের বনভূমির মধ্যবর্তী এলাকায় উত্তর-দক্ষিণ বরাবর শিরার ন্যায় একটি উচ্চভূমি বিদ্যমান, যা তুরাগ ও বানার নদীর জল বিভাজিকা হিসেবে কাজ করে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বনভূমি এলাকায় গড় উচ্চতা ১৮ মিটার। বনভূমির কিছু কিছু এলাকার উচ্চতা আবার ৫০ মিটারেরও অধিক। সহানীয়ভাবে অধিক উঁচু ভূমিকে বলে ‘পাহাইড়া ’এলাকা।
প্রধান নদ-নদী: পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ,শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বংশী, বালু, বানার, গারগারা ও চিলাই।
প্রধান প্রধান বিল: বেলাই বিল, মকেশ্বর বিল, লবলং বিল, ডাকুরাই বিল।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস