ঢাকার খুব কাছে তুরাগ নদীর তীরে সবুজ শ্যামল গাজীপুর জেলার অবস্থান। ঐতিহাসিক ভাওয়াল রাজবংশের বীরত্বগাথাপূর্ণ শাল গজারীর সৌন্দর্যমন্ডিত এ জেলায় শিল্প কারখানার পাশাপাশি বিকাশ লাভ করেছে পর্যটন শিল্প। ঐতিহাসিক প্রত্নসম্পদ সমৃদ্ধ গাজীপুর জেলা ভাওয়ালের গাজী বংশের পাঁচশত বছরের সুশাসনের স্বাক্ষী। ভূ-কৌশলগত কারণে এ জেলায় গড়ে উঠেছে ২৬টি কেপিআই। রাজধানীর অতি সন্নিকটে হওয়ায়, ভূ-কৌশলগত কারণে গুরম্নত্বপূর্ণ বিবেচনায় এই জেলায় বেশ কয়েকটি কেপিআই গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে উলেস্নখযোগ্য (বাংলাদেশ মেশিন ট্যুলস ফ্যাক্টরী, সমরাস্ত্র কারখানা, বাংলাদেশ সিকিউরিটি ও প্রিন্টিং প্রেস, আনসার একাডেমী, কাশিমপুর কারাগার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ইত্যাদি)। এছাড়া এ জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক দেশের তথ্য প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রাখবে। এ জেলায় প্রায় সাড়ে চার হাজার এর অধিক কল কারখানা রয়েছে যেখানে প্রায় ২০ লক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, ভাওয়াল রাজবাড়ী, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক ও ভাওয়াল রিসোর্ট সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক অবকাশের স্বর্গ গাজীপুর। ‘হরিজন’ সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের আবাসন হিসেবে গাজীপুর জেলা পরিচিত। এ জেলায় প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো চার্চ রয়েছে যা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ উপাসনালয়। গাজীপুর জেলার বিখ্যাত পিঠা পাটিসাপটা। এ জেলায় প্রচুর পরিমাণ কাঁঠাল উৎপাদিত হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস