বিদ্যালয়টি গাজীপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র রাজবাড়ী রোডে ভাওয়াল রাজের কাচারি বাড়িতে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে অবস্থিত। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ০৪টি একাডেমিক ভবন , ০১টি ছাত্রী হোস্টেল , ০১টি কম্পিউটার ল্যাব , ০১টি পুকুর , ০১টি খেলার মাঠ এবং প্রধান শিক্ষকের সরকারি বাসভবন রয়েছে । মোট জমি ২.৯৭ একর ( বিদ্যালয়ের ভবনসহ অন্যান্য অবকাঠামো ১.২৩ একর , মৌজা : জয়দেবপুর এবং ১.৭৪ একর আবাদী জমি , মৌজা : ভূরুলিয়া) । মোট ছাত্রী ১৯৮৩ জন।
শিক্ষক/শিক্ষিকা ৫১ জন , কর্মচারী ০৩ জন , শিফট ০২টি।
ঐতিহাসিক ভাওয়াল পরগণার আজকের গাজীপুর জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৩৫ সাল থেকে এলাকার মেয়েদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য বিদ্যোৎসাহী মহল একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চিমত্মাভাবনা শুরম্ন করেছিলেন। বালিকা বিদ্যালয় গড়ার চিমত্মাভাবনার বাসত্মব রূপদানের উদ্দেশ্যে তৎকালীন উদ্যোক্তাগণ ভাওয়াল কোর্ট অব ওয়ার্ডস এস্টেটের শরণাপন্ন হন এবং ভাওয়াল এস্টেটের উদ্যোগেই রাজবাড়ী মাঠের পূর্ব পাশের্ব বর্তমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে ১৯৩৭ সালে এম.ই. বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪০ সালে বিদ্যালয়ের গৃহাদি নির্মাণকল্পে বালিকা বিদ্যালয়ের নামে জমির রেজিস্ট্রেশন চেয়ে ভাওয়াল কোর্ট অব ওয়ার্ডস এস্টেটের তৎকালীন ম্যানেজার বরাবরে ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে সেক্রেটারী বাবু শ্রী করম্নণাকান্ত রায় চেৌধুরী দরখাস্ত পেশ করলে ভাওয়াল এস্টেটের ম্যানেজার এবং একই সাথে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি রায় ইউ.এন. ঘোষ বাহাদুর ভাওয়াল রাজ পরিবারের তৎকালীন সদস্যবৃন্দের পক্ষে Authorised agent হিসেবে বিদ্যালয় ভবনসহ ১ একর ২৩ শতাংশ জমি বিদ্যালয় বরাবরে ছেড়ে দেন।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় এই বিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা অনেকটা ব্যাহত হয়। বিদ্যালয় পরিচালনার পরিষদের সুশৃঙখল দিক নির্দেশনার অভাবে এটি হয়েছে। ১৯৫৬ সালে ৬ষ্ঠ এবং ৭ম শ্রেণীতে নতুন করে ছাত্রী ভর্তি করা হয় এবং এম.ই. স্কুল হিসেবে এটি অনুমোদন লাভ করে। ১৯৫৭ সালে জুনিয়র হাই স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৬০ সালে বিদ্যালয়ের ৫ জন ছাত্রী প্রথমবারের মত প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর বহন করে।
১৯৬১ সালে ইস্ট পাকিসত্মান সেকেন্ডারী এডুকেশন বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে বিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং ঐ বছরই ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করতে এসে একে ভাওয়াল রাজার তৎকালীন কাচারী বাড়িতে মনোরম পরিবেশে স্থানান্তর করার অনুমতি প্রদান করেন।
১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর হিংস্র্ ছোবলে বিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাস , লাইব্রেরী এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রভূত ক্ষতি হয়। পরবর্তীতে ছাত্রী সংকুলান না হওয়ায় এর প্রাথমিক শাখাটি পুনরায় রাজবাড়ী মাঠের পূর্ব পাশের্ব বর্তমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে স্থানান্তরিত হয়। বিদ্যালয়টি প্রথম পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনায় পাইলট স্কীমে অন্তর্ভূক্ত হয় এবং ১৯৮০ সালে এর আওতায় নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরম্ন হয়।
১ এপ্রিল ১৯৮১ খ্রি: বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয়। সরকারি হওয়ার পর এর উন্নয়নমূলক কাজ দ্রম্নত এগিয়ে চলছে এবং বর্তমানে তার ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০১১ শিক্ষাবর্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গরূপে ডাবল শিফ্ট চালু হয়েছে। এর মনোরম দৃষ্টি নন্দন শামত্ম পরিবেশ ছাত্রীদের নিকট প্রতিদিনই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
৬ষ্ঠ = ৩৯০,৭ম = ৩৬০, ৮ম = ৪৭৫, ৯ম = ৪৩৩, ১০ম = ৩৯০
এসএসসি-২ ০০৯ : পরীক্ষার্থী ১৯০ জন, উত্তীর্ণ ১৮৬ জন, A + = ৮৫জন
এসএসসি- ২০১০ : পরীক্ষার্থী ১৬৬ জন, উত্তীর্ণ ১৫৯ জন, A + = ৪২জন
এসএসসি- ২০১১ : পরীক্ষার্থী ২১৩ জন, উত্তীর্ণ ২০৬ জন, A + = ৪৬জন
এসএসসি- ২০১২ : পরীক্ষার্থী ২১৩ জন, উত্তীর্ণ ২০৮ জন, A + = ৬১জন
এসএসসি- ২০১৩ : পরীক্ষার্থী ৩০৯ জন, উত্তীর্ণ ৩০৫ জন, A + = ১০৬জন
এসএসসি- ২০১৪ : পরীক্ষার্থী ৩৮৫ জন, উত্তীর্ণ ৩৭২ জন, A + = ১৪৭জন
জেএসসি- ২০১০ : পরীক্ষার্থী ২৩৫ জন, উত্তীর্ণ ২৩৫ জন, A + = ০৮জন
জেএসসি- ২০১১ : পরীক্ষার্থী ৩৪৩ জন, উত্তীর্ণ ৩৪০ জন, A + = ৬১জন
জেএসসি- ২০১২ : পরীক্ষার্থী ৩৯৮ জন, উত্তীর্ণ ৩৯৬ জন, A + = ১১৭জন
জেএসসি- ২০১৩ : পরীক্ষার্থী ৪১৪ জন, উত্তীর্ণ ৪১৩ জন, A + = ২৮০জন
জেএসসি- ২০১৪ : পরীক্ষার্থী ৪৩৬ জন, উত্তীর্ণ ৪৩৪ জন, A + = ১৫২জন
জুনিয়র বৃত্তি - ২০১১ : মেধা ১৮ জন , সাধারণ ২৭ জন , মোট ৪৫ জন
২০১১ সনে ৬ষ্ঠ = ৫৪ জন, ৭ম = ৪৩ জন, ৮ম = ৪৪ জন, ৯ম = ৪৭ জন, ১০ম = ২৭ জন
জেএসসি-২০১০ সনে পরীক্ষায় ১০০% পাশ
জেএসসি- ২০১১ সনে পরীক্ষায় ৯৯.৯৩% পাশ
জেএসসি- ২০১২ সনে পরীক্ষায় ৯৯.৫০% পাশ
জেএসসি- ২০১৩ সনে পরীক্ষায় ৯৯.৭৫% পাশ
জেএসসি- ২০১৪ সনে পরীক্ষায় ৯৯.৫৪% পাশ
জুনিয়র বৃত্তি - ২০১১ : মেধা ১৮ জন , সাধারণ ২৭ জন , মোট ৪৫ জন
জুনিয়র বৃত্তি - ২০১২ : মেধা ১৭ জন , সাধারণ ৪৩ জন , মোট ৬০ জন
জুনিয়র বৃত্তি - ২০১৩ : মেধা ১৫ জন , সাধারণ ৪২ জন , মোট ৪৫ জন
জুনিয়র বৃত্তি - ২০১৪ : মেধা ১৪ জন , সাধারণ ৩৭ জন , মোট ৫১ জন
২০০৯ , ২০১০ সনে তায়কোয়ান্ডো জাতীয় চ্যাম্পিয়ন
২০১২ সৃজনশীল মেধা অন্নেষণ প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগে প্রথম স্থান
জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করানো। জেএসসি পরীক্ষায় বৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং সহ:পাঠক্রমে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হওয়া।
ডাকঘরঃ- গাজীপুর- ১৭০০ জেলাঃ- গাজীপুর
ই-মেইলঃ jogogihs@gmail.com
জুনিয়র বৃত্তি - ২০১১ : মেধা ১৮ জন , সাধারণ ২৭ জন , মোট ৪৫ জন
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস